৬ দফা দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
নিরাপদ সড়ক ও হাফ পাশের দাবিতে জাতীয় সংসদে স্মারকলিপি দেওয়ার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও ৬ দফা দাবি পেশ করেছে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এ ঘোষণা দেন।
সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট জানান, আমরা প্রথমে হাফ পাশের দাবিতে ২১ নভেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমরা দেখলাম সড়কে চলছে মৃত্যুর মিছিল। তাই নিরাপদ সড়কের দাবি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। সেকারণেই আমরা একসঙ্গে নিরাপদ সড়ক ও সারা দেশে শর্তহীনভাবে হাফ পাশের দাবি করছি।
এ জন্য আমরা আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টা পর্যন্ত সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দিলাম। আশা করি সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে। যদি দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে সেই দিন আমরা স্মারকলিপি নিয়ে গণভবনে যাব এবং আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১। গণপরিবহনে সকল শিক্ষার্থীর জন্য প্রজ্ঞাপন দিয়ে অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে বিআরটিসি বাস শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি করতে হবে।
২। সকল গণপরিবহনে ছাত্রী/নারীদের জন্য অবাধ নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে আহত/ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসহ সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
৪। দুর্ঘটনায় দোষী চালক এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন মালিকদের বিচারের জন্য 'দ্রুত বিচার আদালত' স্থাপন করতে হবে।
৫। প্রতিটি গণপরিবহনের ভেতরে দৃশ্যমান স্থানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি ও গাড়ির নম্বর প্লেট স্থাপন করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন করতে হবে।
৬। পরিবহন খাতে দুর্নীতি ও চাঁদা বাজী বন্ধ করে সড়কে শতভাগ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে সকল প্রাইভেট বাস/ট্রাক/সিএনজি/ট্যাক্সির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে
এসময় ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ইডেন কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক ও হাফ পাশের দাবিতে বক্তব্য রাখেন।