এখনো ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধার বাইরে
১৮১ বছরে পা রাখল ঢাকা কলেজ। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটি। তবে প্রতিষ্ঠার ১৫ যুগ পার করলেও অবকাঠামো উন্নয়নে তেমন অগ্রগতি হয় কলেজটির। শেণিকক্ষ সংকটের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট চরমে। শিক্ষার্থীদের মাত্র ৮ শতাংশ আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশকে থাকতে হয় মেস ভাড়া করে৷
ঢাকা কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন এক হাজার ৬০৮ জন। অর্থাৎ মাত্র ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকতে পারছেন। আবাসিক সুবিধার বাইরে রয়েছে ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর বাইরে কিছু অনাবাসিক ছাত্র হলে থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা কলেজে মোট আটটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে শেখ কামাল হলে শুধু উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা থাকতে পারেন। এছাড়া বাকি সাতটি হল হলো—উত্তর হল, দক্ষিণ হল, শহীদ ফরহাদ হোসেন হল, দক্ষিণায়ন হল, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হল, আন্তর্জাতিক হল ও পশ্চিম হল ৷ এগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটিতে আবার কয়েকটি কক্ষ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৷
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আবাসিক সুবিধা না থাকায় অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জ্যাম সমস্যা, মেসের বাড়তি ভাড়া এসব এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী।
ঢাকা কলেজ প্রশাসন বলছে, অবকাঠামো নির্মাণের জায়গা থাকলেও পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে৷
ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল মামুন বলেন, ‘আমি সাভার থেকে এসে ক্লাস করি। আবাসিক হলে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় আমরা হলে উঠতে পারি না। সব শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পেলে ভালো হতো, আমাদের ভোগান্তি কমে যেতো।
কলেজের আবাসিক হল কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন বলেন, আমাদের ঢাকা কলেজে আটটি আবাসিক হল রয়েছে৷ হলগুলো যখন নির্মাণ করা হয় সেই সময়ের জন্য এটি ঠিক ছিল। তবে এখন চাহিদা বেড়েছে ৷ আমরা চেষ্টা করছি ছোট হলগুলো ভেঙে নতুন করে বহুতল হল নির্মাণ করার তাহলে সব সমস্যার সমাধান হবে।