ইবিতে ঝোপঝাড়-আবর্জনা, ডেঙ্গু প্রকোপের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে যত্রতত্র আবর্জনা। আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় আর আবর্জনার স্তুপ। এসব আবর্জনা ও ঝোপঝাড় থেকে মশার প্রাদুর্ভাব বাড়ার পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হলগুলোর আশেপাশের জায়গাগুলোতে আবর্জনায় ছড়াছড়ি— যেন ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে। হলের প্রতিটি ব্লকে একটি করে ডাস্টবিন থাকায় ময়লা উপচে পড়ে। এজন্য হলের নিচে ময়লা ফেলা হয় দাবি শিক্ষার্থীদের। এজন্য শিক্ষার্থীরা ডাস্টবিনের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের জলাশয় কচুরিপনায় ভরে গেছে। যেখান থেকে সহজেই মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে কমেছে অতিথি পাখির সংখ্যা।
এছাড়া একাডেমিক ভবনের পাশের জায়গাগুলোও আগাছায় পরিপূর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের আশেপাশেও আগাছা আর ময়লার স্তুপ। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। অভিযোগ করলেও পরিষ্কার করা হয়নি দাবি শিক্ষার্থীদের।
গবেষকরা বলছেন, গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘হলে আশেপাশেসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঝোপঝাড় ও ময়লা রয়েছে। এগুলো দ্রুত পরিষ্কার করার দাবি জানাই। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যেতে। আমাদের সকলের এখনই সচেতন হতে হবে।’
মেডিকেলের প্রধান কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত দুইদিন বৃষ্টি হয়েছে। যদি ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন করা না হয়, তাহলে সহজেব মশা বংশবিস্তার করবে। মশাকে বিনাশ করতে হবে। না হয় কোন ব্যক্তি যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সকলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই স্প্রেসহ ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।’
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ‘হলের ভিতরের এলাকার আবর্জনা বা ঝোপঝাড় পরিষ্কারের জন্য প্রভোস্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে হলের পরিষ্কার রাখার জন্য শিক্ষার্থীদেরও সচেতন হতে হবে।’