হল সংস্কার কাজে অনিয়ম বন্ধের দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আাবসিক হলগুলোর সংস্কার কাজ চলমান। তবে হলের সংস্কার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মান রক্ষা না করে দায়সারা এ সংস্কারকাজের ঢালাও অভিযোগ তাদের। তবে অভিযোগের পরেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে মানববন্ধন করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলের সংস্কার কাজ সঠিকভাবে না করলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়রি দেন তারা।
এ সময় ‘সংস্কারের নামে হরিলুট মানি না মানব না’, ‘কাগজে কলেমে সংস্কার’, ‘মানি না মানব না’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান না নেওয়া মানে দুর্নীতিকে সমর্থন করা’, ‘সংস্কারের নামে প্রহসন, মানি না মানব না’, ইত্যাদি ফেস্টুন হাতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হলে সবক্ষেত্রেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। সংস্কার কাজ শুধু কাগজে কলমেই হচ্ছে, বাস্তবে কোনোরকম গোঁজামিল দিয়ে কাজ করতে চাচ্ছে ঠিকাদারেরা। যদি সঠিকভাবে কাজ হয় তাহলে হলের চেহারা নতুন রুপ নিবে। মান বজায় রেখে হলের সংস্কার কাজ না হলে প্রয়োজনে সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন সংস্কারের জন্য ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এর মধ্যে আবাসিক হলগুলো সংস্কারের জন্য ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দরপত্রের মাধ্যমে পৃথক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৮ লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হয় হলগুলোকে। গত ৪ অক্টোবর সংস্কার কাজ শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘হল পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ঠিকাদারকে একাধিকবার বলার পরেও তারা জোড়াতালি দিয়ে কাজ করছে। আজকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রোকশলী নিজেই এসে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। ঠিকাদরকে সঠিকভাবে কাজ করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’