১১ নভেম্বর ২০২১, ১১:৫৭

৬০৩ দিন পর সশরীরে ক্লাসে ফিরলো বেরোবির শিক্ষার্থীরা

সশরীরে ক্লাসে ফিরলো শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

দীর্ঘ ৬০৩ দিন পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাস ও শ্রেণি কার্যক্রম। আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকেই ক্লাসে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাসরুমগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে। 

দীর্ঘদিন পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারো প্রাণ ফিরেছে বেরোবির ক্যাম্পাস অঙ্গনে। বেশ কিছু বিভাগ ঘুরে দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর গতবছরের ১৯ মার্চ বন্ধ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম। নানা সতর্কতা অবলম্বন আর শিক্ষার্থীদের টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরুর পর তা আবার চালু হলো।

জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৮২তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ নভেম্বর থেকে আবাসিক হল খোলা হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার থেকে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলো। এর আগে গত বছরের আগস্ট থেকে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়। এরপরে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে কিছু দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে শুধু পরীক্ষা নেয়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসে আবার তা বন্ধ হয়ে যায়।

চলতি বছরের ১১ মে অনুষ্ঠিত হওয়া ৭৮তম সিন্ডিকেট সভায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর উদ্যোগে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরে চলতি বছরের জুন মাসে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ যোগদানের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন পরীক্ষা শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, দীঘদিন পরে ক্লাসে আসতে পেরে উল্লাস প্রকাশ করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন বন্ধের পর প্রথম ক্লাসে এসে কেক কেটে ক্লাস উদ্বোধন করেন শিক্ষার্থীরা।

ক্লাসে উপস্থিত হওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনেকদিন পর শিক্ষকদের সাথে দেখা হওয়ায় উচ্ছ্বসিত তারা। তাছাড়া অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের জটিলতাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ায় বেশ খুশি হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

একই বিভাগে স্বাস্থবিধি মেনে আজকে প্রথম ক্লাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দে মেতেছেন সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান। তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের সবচেয়ে ভালোলাগার স্থান হলো ক্লাসরুম, একজন শিক্ষার্থীর জন্যও তাই। দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় পরে আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে পেয়েছি। তবে অনলাইনে আমাদের শ্রেণি কার্যক্রম চালু ছিল। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। ক্লাসের যে আনন্দ উল্লাস আমরা এতদিন মিস করছিলাম তা আবারও আমরা ফিরে পেলাম। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।