জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হবে গোপালগঞ্জে
গোপালগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণে গোপালগঞ্জ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাতে ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন উপাচার্য। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব।
গোপালগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া গোপালগঞ্জে জোট সরকারের সময়ে বন্ধ করে দেয়া বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের জমির বিষয়ে আলোচনা হয়। ইনস্টিটিউটের নামে বরাদ্দকৃত ওই জমি বর্তমানে বশেমুরবিপ্রবি ব্যবহার করছে। রবিবার তারা বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউটের নামে বরাদ্দকৃত জমি পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। আরও ৩টি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
ভূমি পরিদর্শন শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান ইউজিসি সদস্য ও বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় জাতির জনক ও তার পরিবারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে রাখা বইয়ে তারা মন্তব্য লেখেন।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বশেমুরবিপ্রবি আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফলজ ও বনজ গাছ লাগিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
এসময়ও তার সঙ্গে ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব। ক্যাম্পাসে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১০০০ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৫০০ গাছ লাগানোর কর্মসূচি হাতে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরই অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।