সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ ছিলেন বঙ্গবন্ধু
গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি (এমপি) বলেন, জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের আয়োজনে ‘১৯৭৫ পরবর্তী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সবার ধর্মকে নিরাপত্তা দিবে। যে যার ধর্ম ও বিশ্বাস লালন-পালন করবে। রাষ্ট্র এ ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ করবে না। ধর্মের ভিত্তিতে কোন দল থাকবে না।
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, রাজনীতিতে ভালো মানুষের খুব দরকার। নইলে দুর্বৃত্তরা সেই জায়গা দখল করে সমাজকে নষ্ট করে দিতে পারে। আবেগে যেন তাড়িত না হই। আবেগ হলো স্ফূলিঙ্গ। আমরা স্থায়িত্ব চাই। আমরা এমন একটি সমাজ চাই যে সমাজ আলোকবর্তিকা হবে, স্ফূলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠবে না। দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগানোর জন্য শিক্ষকদেরকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. আবু হেনা মোস্তফা জামাল হ্যাপির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং সূচনা আলোচক হিসেবে প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, জেলবন্দী অবস্থায় এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে সংঘটিত হয়েছে কিনা সন্দেহ। যাদের উপর নির্ভর করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য অসম্ভব দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম কালোত্তীর্ণ পুরুষ আমাদের চার জাতীয় নেতা।
প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি সংবিধান দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সংবিধানকে কলুষিত করা হয়েছে।