খুবিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় টার্ম রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফি জমা দেওয়া নিয়ে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং স্ব স্ব হল গুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রচুর ভীড় করে টাকা জমা দিতে গেছে। এ সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের কারও মুখে মাস্ক নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই অগ্রণী ব্যাংক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় শিক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য টাকা জমা দিচ্ছে। কিন্তু এ বছর করোনা থাকার কারনে যেখানে কঠোর স্বাস্থ্যবিধী মানার কথা ছিল সেখানে শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে আরও ভীড় করতে। গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের আশপাশে ভীড় করতে দেখা গেছে। এছাড়াও অনেকেই ক্লাস মিস দিয়েও রেজিষ্ট্রেশন এর ফি জমা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদেরকে এতদিন ধরে দুই বার ব্যাংকে এসে টাকা জমা দেওয়া লাগে। প্রথম বার হলের ফি ব্যাংকে এসে জমা দিয়ে মানি রিসেন্ট নিয়ে এরপর হলে গিয়ে রেজিস্ট্রশন কার্ডে প্রভোস্টের স্বাক্ষরের নিয়ে। আবার ব্যাংকে লাইন দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ফি জমা দিতে হয় । গত ৩১ অক্টোবর থেকে এমন ভোগান্তি স্বীকার হতে হয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী আশঙ্কা প্রকাশ করেন এত ভীড়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাদের দাবি আমাদের অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন এর ব্যবস্থা করলে সামনের টার্মে এমন ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে না । তাছাড়া ও ক্লাস বাদ দিয়ে লাইনে এসে টাকা জমা দেওয়া লাগবে না।
শিক্ষার্থীদের উপচে ভীড় দেখে তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় টার্ম রেজিষ্ট্রেশন এর টাকা ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীরা জমা দেওয়ায় ভীড় হচ্ছে। এজন্য স্ব স্ব ডিসিপ্লিন থেকে কোর্স রেজিষ্ট্রেশন এর টাকা ওই ডিসিপ্লিন থেকে ব্যাংকে জমা দেওয়া এবং একই সাথে হল সমূহকে হলচার্জ নিজ হলে গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাচটি হলে শিক্ষার্থীরা হল ফিস এবং রেজিষ্ট্রেশন কার্ড জমা দিচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ডিসিপ্লিন টাকা জমা দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অনাবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদেরকে কোন হলে ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ার জন্য ঢুকতে দেওয়া হয়না। অথচ আজকে হলে এসে এত ভীড়ের মাঝে টাকা জমা দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ হাসান লিমন শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাস বাদ দিয়ে ভীড় না করে ধীরে সুস্থে স্বাস্থ্য বিধি মেনে টাকা জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,প্রণীত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দ্বিতীয় টার্মের রেজিস্ট্রেশন (জরিমানা ছাড়া) ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত, রেজিস্ট্রেশন (জরিমানাসহ) ৭ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধির কথা চিন্তা ভাবনা করে রেজিস্ট্রেশন এর সময় ১৩ তারিখ পর্যন্ত (জরিমানা ছাড়া) মওকুফ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে যাতে শিক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রেশন ফি জমা দিতে পারে এজন্য এমন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।