৬ দিনে ১ হাজার ৯৬০ শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছে জবি
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১০:০৯ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১০:০৯ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে ৬দিনে টিকা পেয়েছে মোট ১ হাজার ৯৬০ শিক্ষার্থী। সহজেই টিকা নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রথমে ৫ দিনব্যাপী টিকা প্রদানের কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের চাহিদা থাকায় এই কার্যক্রম একদিন বাড়ানো হয়।
অপরদিকে টিকার রেজিষ্ট্রেশনের জন্য যেসব শিক্ষার্থীর এনআইডি ছিলনা তাদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই এনআইডি নিবন্ধন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। তাই এনআইডি না থাকায় এর পূর্বে যারা টিকার রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেনি তারাও এনআইডি নাম্বার নিয়ে কেন্দ্র থেকেই রেজিষ্ট্রেশন করে টিকা নিতে পেরেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিনে ১০৫, দ্বিতীয় দিনে ২৮০, তৃতীয় দিনে ৩৫০, চতুর্থ দিনে ৩৯৫, পঞ্চম দিনে ৫০০ জন এবং রোববার শেষ দিনে ৩৩০ জন শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে আনুষ্ঠানিকতার জটিলতা ছাড়াই টিকা নিতে পেরে কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে স্বাচ্ছন্দ্য প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে, গত ২১ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের দিনে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র উদ্ধোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী বেলাল হোসাইন বিপ্লব বলেন, অন্যান্য শিক্ষার্থীরা যখন টিকা নিচ্ছিল তখন শঙ্কায় ছিলাম। কারণ প্রথমে আমি রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া বুঝতে পারিনি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই টিকা কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে জানতে পারি। আমি দ্বিতীয় দিনে টিকা নিয়েছি। খুব সহজেই নিতে পেরেছি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, আমার এনআইডি ছিলনা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই এনআইডি নিবন্ধন বুথ স্থাপন করায় সুবিধা হয়েছে। এনআইডি নিবন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে টিকা নিতে পেরেছি। বিষয়টি নিঃসন্দেহে আনন্দের।
জানা যায়, গত ৩ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এনআইডি না থাকা, তথ্য দেওয়ার সঠিক প্রক্রিয়া না জানাসহ একাধিক কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তথ্য দিতে পারেনি। পরবর্তীতে আরও কয়েক ধাপে শিক্ষার্থীদের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।
তবে সুরক্ষা অ্যাপে আবেদনের সঠিক প্রক্রিয়া না জানায় অনেক শিক্ষার্থীই রেজিষ্ট্রেশন পারেনি। এসব জটিলতা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক খুশি আমাদের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে পেরে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাহিদা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করেছি।