ইবির হলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ইবির আবাসিক হলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ জানিয়েছে ছাত্ররা
ইবির আবাসিক হলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ জানিয়েছে ছাত্ররা   © টিডিসি ফটো

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কয়েকটি আবাসিক হলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করেছে ডাইনিং পরিচালনাকারীরা। বাড়তি এ মূল্য নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর মধ্যে লালন শাহ হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শেখ রাসেল হল ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধির এ ঘটনা ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোন আলোচনা কিংবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দাম বৃদ্ধির ঘটনায় ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, খাবারের খাবারের দাম বাড়ানো হলেও মান বাড়ানো হয়নি মোটেও। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। সেখানে নিম্নমানের খাবার দিয়ে ছাত্র হলে খাবারের দাম বাড়ানো নিয়েও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনায় বন্ধের আগে আবাসিক হলগুলোতে খাবারের মেন্যু ভেদে দাম ছিল ২২ কিংবা ২৫ টাকা। বর্তমানে ছেলেদের চারটি হলে সেই দাম বাড়ানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে মেন্যু ভেদে দাম বৃদ্ধি করে ২৫, ৩০ ও ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হল ২৫, ৩০ ও ৩৫ টাকা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ২৫ ও ৩০ টাকা এবং শেখ রাসেল হলে ২৫ ও ৩৫ টাকা হারে দাম নির্ধারণ করেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের সংখ্যা আটটি। এর মধ্যে ছেলেদের পাঁচটি এবং ছাত্রীদের তিনটি হল রয়েছে। এসব হলে কোন ক্যান্টিনের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের ডাইনিংয়ের খাবারের ওপরই নির্ভর করতে হয়। এছাড়া ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মেসে থাকা শিক্ষার্থীরাও খেতে আসেন হলে। তাই খাবারের এই বাড়তি মূল্যে এবং নিম্ন মানের কারণে অসুবিধায় পড়েছেন ছাত্ররা।

শিক্ষার্থীদের অবিযোগ, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি, সেখানে ইবিতে খাবারের মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ডাইনিং পরিচালনাকারীদের একটি অতিমুনাফালোভী সিদ্ধান্ত। 

খাবারের মান ও দাম নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ইবির শেখ রাসেল হলের আবসিক শিক্ষার্থী আর কে রাজু বলেন, একটু দেরিতে গেলেই ডাইনিংয়ে খাবার পাওয়া যায় না। অনেক সময় ডাইনিংয়ে খাবার শেষ হয়ে যায়। এ কারণে মাঝেমধ্যে না খেয়েও থাকতে হয়। একদিকে নিম্নমানের খাবার অন্যদিকে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি- এটা আমাদের জন্য বোঝা।

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ডাইনিংয়ের খাবারের দাম পূর্বের মতো নির্দিষ্ট হারে বেঁধে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ডাইনিংয়ের খাবার নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মিটিং আহবান করে আবাসিক হলের খাবারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। মিটিং এ খাবারের মূল্য ও মেন্যু নির্ধারণ করে দেওয়া হবে যাতে পরবর্তীতে এরকম সমস্যা সৃষ্টি না হয়।


সর্বশেষ সংবাদ