বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের মারামারি, আহত ১
পূর্ব ঘটনার জের ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ঘটা ওই মারামারিতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
আহত তৌহিদ ফেরদাউস শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। তাকে বরিশাল নগরীর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মারামারির ঘটনায় যুক্ত অপর শিক্ষার্থী খালিদ হাসান রুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র। তারা উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে খালিদ হাসান রুমির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা কাটাকাটি হয় তৌহিদ ফেরদাউস শাওনের। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে দুজনের সামনাসামনি দেখা হলে পুনরায় বিতণ্ডায় জড়ান তারা। এক পযার্য়ে রুমির জামা ছিড়ে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে অনুসারীদের নিয়ে শাওনের উপর হামলা করে রুমি। এতে ফলে কপাল ফেটে যায় শাওনের। এই ঘটনার আধঘণ্টা পর ফের নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়ায় ঐ শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস সেখানে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মারামারির বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রুমি বলেন, আমি সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছি তখন ভাইয়ের (শাওন) সাথে আমার দেখা হয়। তার সাথে আমি কথাবার্তাও বললাম। কারণ আমাদের মধ্যে পূর্বের ঘটনা নিয়ে ঝামেলা ছিল। কিন্তু ভাই আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে গালাগালি, ধাক্কাধাক্কিও করে। তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে আমাকে আঘাত করতে চায়।
তবে আহত শিক্ষার্থী শাওনের সাথে থাকা রিয়াজ মোল্লা বলেন, এর আগেও রুমি ক্যাম্পাসে না আসার হুমকি দিয়েছে শাওনকে। আজ বিকেলে ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয়ার সময় শাওন ৭ম ব্যাচের আল সামাদ শান্ত, নাওয়ার হক, খালিদ হাসান রুমি, আজমাঈন রাদ ও পঞ্চম ব্যাচের তানভীন রিদমসহ কয়েকজন কোন কথাবার্তা ছাড়াই মারধর করে শাওনকে। এছাড়া শাওনের পকেটে ওরা ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে ফাসানোর চেষ্টা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মারামারি থেকে নিবৃত করি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করা এনএসআই ও সিটিএসবির সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের উভয়ের বক্তব্য নেই। আগামীকাল এ বিষয়ে পুরো তথ্য জেনে প্রশাসন তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি আমি শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনেছি। ঐ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বিষয়টি সম্পর্কে পুরো ডিটেইলস জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মারামারির ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।