গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রের ঠিকানা গরমিল, ভুল নাকি জালিয়াতি?
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০৬:১৯ PM , আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০৭:৪১ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে আসা এক ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর প্রবেশপত্রের তথ্যে গরমিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তার পরীক্ষা আলাদাভাবে নেওয়া হয়েছে।
ওই ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর প্রবেশপত্রে কেন্দ্রের নাম দেখা যায়, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা’। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পরীক্ষা কমিটি তার আলাদাভাবে পরীক্ষা নিয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা ৫২০১০০ রোলধারী সোনিয়া আক্তার শিলা নামের ওই ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর প্রবেশপত্রে কেন্দ্রের নামে লেখা রয়েছে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম; ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (অফিসিয়াল নাম দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা)।
এছাড়াও কুবির নিউ একাডেমিক বিল্ডিং এর ৭ম তলায় ওই ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর সিট পড়েছে বলে প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ম তলাবিশিষ্ট কোনো একাডেমিক ভবন নেই। আবার প্রবেশপত্রে ছাপা কিউআর কোড স্ক্যান করলে অনিক আখন্দ নামে এক পরীক্ষার্থীর নাম ও রোল আসে। যার কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া প্রবেশপত্রের রোল অনুযায়ীও অনিক আখন্দের নাম আসে। প্রবেশপত্রের এমন কাণ্ডের পরও ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্রের ‘বি’ ইউনিটের আহবায়ক ও কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম. এম. শরীফুল করীম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আমরা আলাদাভাবে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার উত্তরপত্র আলাদা খামে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।
গুচ্ছ পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, এখানে কারিগরি সমস্যা হতে পারে। টেকনিক্যাল কমিটি ভালো বলতে পারবে।
গুচ্ছ পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, এটা ইডিট করা হতে পারে। কিউআর কোডে যেহেতু অন্য কারও নামে আসছে তাহলে হয়তো ঘাপলা আছে। কিউআর কোডে ভুল থাকার কোনও কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই টেকনিক্যাল কমিটির কাছে প্যানেলের এক্সেস রয়েছে। তারা এটা চেক করে নিতে পারতো। টেকনিক্যাল কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া আছে যে, তথ্যে গরমিল থাকলে চেক করে নিতে।
এদিকে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় এদিন কুবি কেন্দ্রে মোট উপস্থিতির হার ছিল ৯৫.৪৪ শতাংশ। মোট ২ হাজার ৫০৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সার্বিক বিষয়ে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা নিয়েছি।