৩৮৫ দিন পর খুলেছে তিতুমীর কলেজ

শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন  শিক্ষক
শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন শিক্ষক   © টিডিসি ফটো

প্রাণহীন বেঞ্চগুলো পঞ্জিকার হিসাবে ৫৮৫ দিন নিথর সময় কাঁটিয়েছে। অবশেষে করোনার প্রকোপ কমেছে। দুই শতাংশের নিচে নেমেছে দৈনিক শনাক্তের হার। ঠিক সেই মুহুর্তে খোলা হয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজ।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল ও চকলেট দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছেন কলেজের শিক্ষকরা। এসময় সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে বসানো হয়েছে।

করোনার দীর্ঘ স্থবিরতার পর গত অক্টোবরের ১২ তারিখ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তবে তিতুমীর কলেজ খুলে দেওয়া হলেও প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের পরিক্ষা চলমান রয়েছে তাই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। পরীক্ষা শেষ হলে সব বিভাগেই আগের মতো শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা যাবে। তাছাড়া গ্রামে বসবাসরত অনেক শিক্ষার্থী এখনো ঢাকা আসেনি। তারা হলে উঠলে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরো বাড়বে। 

দীর্ঘদিন পর কলেজে এসে ক্লাস করতে পারায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, করোনার মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়েছে। এখন সরাসরি স্যারদের থেকে ক্লাস করতে পারছেন। এতে তাদের লেখাপড়া সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুব সহজেই বুঝতে পারছেন। 

অনার্স ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক দিন পর ক্লাসে ফিরে খুব ভালো লাগছে। প্রায় এক বছর আগে ৩য় বর্ষের ফরমপূরণ সংক্রান্ত কাজের জন্য একবার ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু ক্লাসে বসা হয়নি। আজ ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ায় আবার এসেছি। ক্লাস করতে পারছি।  তাই খুবই ভালো লাগছে। 
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অনেকদিন পর আজ ক্লাসে ফিরেছি। খুব ভালো লাগছে। স্যার আমাদের ভালোবাসা ও ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন। এটা অনেক আনন্দের বিষয় আমাদের জন্য। আমরা এজন্য স্যারদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানাই।  

দীর্ঘদিন পর তিতুমীর কলেজ খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, সত্যিকার অর্থে এতদিন পর শ্রেণীকক্ষে ফেরার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রায় ২ বছর আমরা সবাই ঘরে আবদ্ধ ছিলাম। আমরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি কিন্তু সেখানে সকলে যুক্ত হতে পারেনি।  আজ শিক্ষার্থীরা আমাদের সামনে ক্লাস করবে, পরস্পরের দেখা হবে, ভাব বিনিময় হবে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।  

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে পুরো সতর্ক আছি। আমরা চেষ্টা করবো নিরাপদ দূরত্ব মেনেই ক্লাস নেওয়ার জন্য।  পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যপারে আমরা সচেতন আছি।


সর্বশেষ সংবাদ