সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে কুবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৪২ PM , আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৪২ PM
দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ (নন্দী-জুলহাস অংশ), কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও শাখা ছাত্রলীগ।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর ড. কাজী মো. কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা হামলার শিকার সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে এ ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই না। উগ্রতা, সাম্প্রদায়িক কিংবা সন্ত্রাসী বলি, এ সকল শিক্ষা পরিবার থেকেই আসে। তাই, পরিবারকেই শিক্ষার ব্যাপারে আরও সচেষ্ট হতে হবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ (একাংশ) এর সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, বলেন, ঘটনার পরদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন অপরাধী চিহ্নিত। তাহলে এখনো কেন অপরাধীকে ধরা হয়নি। তাহলে কি প্রশাসন কোন মেসেজের জন্য অপেক্ষা করছে?
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে এখনি যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে এর ভয়াবহতা আরও বাড়তে থাকবে। তাই, আমি প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি এ ঘটনার পিছনে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
সাম্প্রদায়িক ঘটনার পেছনে দায়ীদের ক্রসফায়ার দেয়ার দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এ ধরনের হামলা বারবার ঘটে, বারবার প্রতিবাদ হয়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে আজও আমাদের এখানে এসে দাঁড়াতে হয়েছে।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দীপক মজুমদার ও কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. আবু তাহেরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।