১৫ অক্টোবর ২০২১, ২০:২৫

হলে না খেয়েও টাকা পরিশোধ করতে হবে ইবি ছাত্রীদের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সকল ছাত্রীদের মেসের নিয়মে ৩০টি মিল খাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে হল কর্তৃপক্ষ। এক মাসে ৩০টি মিল না খেলেও পরিশোধ করতে হবে ৩০টি মিলের টাকা। হল বডির ৪০তম সাধারণ সভার ৫ নং প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার ( ১৫ অক্টোবর) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানু স্বাক্ষরিত নোটিশে এসব তথ্য জানা যায়।

নোটিশে বলা হয়, হলের সকল আবাসিক ছাত্রীদের কমপক্ষে ৩০টি মিল (সকালের নাস্তা বাদে) ডাইনিং এ গ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি ৩০টি মিল গ্রহণ না করে তাকেও গুনতে হবে ৩০টি মিলের টাকা। দুই হলে আজ শুক্রবার থেকে এ সিন্ধান্ত কার্যকর হবে।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাবারের মান ভাল না হওয়ায় অনেকে খেতে পারে না। দিনে অনেক ছাত্রীরা বাইরের দোকান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে। তবে রাতে বের হতে না পারাই তারা হলে রান্না করে খায়।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারিয়া বলেন, মেসের নিয়মে হল চলতে পারে না। হলের ডাইনিং এ খাবারের মান ভালো না এবং মোটা ভাতের কারণে খাইতে কষ্ট হয়। এ কারণে নিজেরা রান্না করে খাই। হলে খাবার খেতে হলে ভালো মানের খাবার দিতে হবে।

এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানু বলেন, আমার হলে আবাসিক ছাত্রী আছে প্রায় ২৫০ জন। কিন্তু হলের ডাইনিং এ খাবার খায় ২৫-৩০ জন ছাত্রী। মিলের সংখ্যা কম হওয়ায় ডাইনিং এর ম্যানেজার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে আমাকে অবহিত করেছে।

তিনি বলেন, হলে হিটার চালানো নিষিদ্ধ হলেও মেয়েরা গোপনে হিটারে রান্না করে খায়। এজন্য তারা ডাইনিং এ খেতে আসে না। আমরা চেয়েছি প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন মাসে ত্রিশটা মিল খায়। এতে ডাইনিং এ খাবারের মান ভালো দিতে পারাবে তারা।