বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক  © টিডিসি ফটো

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে র‍্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এই তালিকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) দুই অনুষদের দুই বিভাগের ২ শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।

তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি তালিকায় থাকা বাংলাদেশের গবেষকদের মধ্যে ১৩৬২তম। কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। সারাবিশ্বের গবেষকদের মধ্যে তার অবস্থান ৫ লাখ ১ হাজার ৪৪২ তম এবং এশিয়ার মধ্যে অবস্থান ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৬তম।

এছাড়াও তালিকায় আছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুজ্জামান খাঁন। তিনি তালিকায় থাকা বাংলাদেশের গবেষকদের মধ্যে ১৫১তম। সারাবিশ্বের গবেষকদের মধ্যে তার অবস্থান ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮তম এবং এশিয়ার মধ্যে অবস্থান ৩৭ হাজার ২৭তম। কাজ করছেন মেডিকেল এন্ড হেলথ সায়েন্স নিয়ে।

এমন অর্জনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্বসেরা গবেষকদের ইনডেক্সে নাম পাওয়া ও পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া গবেষক হিসাবে এটা খুবই উৎসাহজনক। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার জন্যে খুবই অবহেলিত। বাংলাদেশের গবেষক যাদের এখানে নাম এসেছে, অধিকাংশই দেখা যাবে নিজ উদ্যোগে গবেষণা করে, বলা যায় নিজের টাকা-পয়সা খরচ করে গবেষণা করে।

তিনি বলেন, আমি নিজে যেমন এ বছরে কয়েকটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছি, আমি নিজে আমার বেতনের টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ফিসহ বিভিন্ন বিষয় মেইনটেইন করি। সেই হিসেবে, এসব কাজের জন্যে যে স্বীকৃতি বা সূচকে খুবই সামান্য হলেও নাম এসেছে এতে উৎসাহ লাগে এবং এতে আমার কাজের পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

গবেষক মো. নুরুজ্জামান খাঁন জানান, তালিকায় নাম আসায় খুবই ভাল লাগছে। বিশেষ করে, আমাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রিসার্চের সুযোগ-সুবিধা বলতে কিছুই নেই। এই জায়গা থেকে কাজ করে একটা ইন্টারন্যাশনাল ইনডেক্সে নাম নিয়ে আসার অনুভূতি বলার মতো না। আমি আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে রিসার্চ ও রিসার্চারদের জন্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।

শিক্ষকদের এমন অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অন্তর থেকে আমি তাদেরকে অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাই। এটা শুধু তাদের ব্যক্তিগত বা তাদের বিভাগের নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে বিশাল অর্জন ও সুনাম বয়ে এনেছে। তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই।


সর্বশেষ সংবাদ