শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রাখবে বেরোবি: উপাচার্য
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেছেন, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজ করবে। একইসঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিতে বেরোবি অবদান রাখবে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রয়োদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ২০০৮ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষে বিভিন্ন পর্যায়ে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ বলেন, শিক্ষার্থীরা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। তাদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বৈশ্বিক মহামারিতেও অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।
‘‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণ করা হয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রমের এ ধারা অব্যাহত রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেশনজটমুক্ত হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীরে ক্লাস এবং হল খোলার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও যতদ্রত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আবাসিক হল খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনার সভাপতিত্বে এবং ছাত্র উপদেষ্টা মো. নুরুজ্জামান খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল আলোচক ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রক্টর মো. গোলাম রব্বানী। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও ছাত্রনেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন তিনি। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে জোহর নামাজের পর কেন্দ্রিয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।