একডোজ টিকা ছাড়া ক্লাসে ঢুকতে পারবে না রাবি শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:০৯ PM , আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:০৯ PM
করোনার দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামী ১৭ অক্টোবর খুলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল। তবে অন্তত একডোজ টিকা ছাড়া হল কিংবা ক্লাসে ঢুকতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়, হল ও ক্লাসে ঢুকতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে এক ডোজ কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। তাছাড়া হলে অবস্থান বা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। যারা এখনো রেজিস্ট্রেশন করেনি, তাদের হলে উঠা বা ক্লাস শুরুর আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এবং কোভিড-১৯ টিকার অন্তত প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে আইসিটি সেন্টার রেজিস্ট্রেশন করতে সহায়তা করবে বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টিকা গ্রহণ সনদের দুই কপি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এক কপি হলে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে বিভাগে এবং অন্য কপি অবশ্যই আইসিটি সেন্টারে জমা দিতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী এখনো টিকা গ্রহণ করেনি কিন্তু সুরক্ষা অ্যাপে বা ইউজিসির ইউনিভ্যাক-এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশনের দুই কপি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
আবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এক কপি হলে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে বিভাগে এবং অন্য কপি আইসিটি সেন্টারে অবশ্যই জমা দিতে হবে। সেখানে আগামী ১৭ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) কোভিড-১৯ টিকার প্রথম/দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে। প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের কপি এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য অবশ্যই প্রথম ডোজের প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া ক্যাম্পাসে, হলে বা ক্লাসে অবস্থানকালীন সময়ে সকলকে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং সরকার নির্দেশিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হলে বা ক্লাস কক্ষে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করতে হবে। হল/বিভাগে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
যদি কোন শিক্ষার্থীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিলে অতি দ্রুত হল/বিভাগ কর্তৃপক্ষকে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রকে অবহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ এবং অ্যান্টিজেন অথবা আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করবে। হলে অবস্থানকালে কোনো শিক্ষার্থীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিলে তাকে হলে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে আইসোলেশন কক্ষে পৃথক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে আবশ্যিকভাবে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। ক্যাম্পাসে কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এই মূহুর্তে ক্যাম্পাস খোলা আসলে একটা চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা নেয়ার জন্য উৎসাহীত করছি। যাতে তারা নূন্যতম একটা টিকা নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে। ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই অন্তত ৮০% শিক্ষার্থী টিকা নিয়ে ক্যাম্পাসে আসুক। যাতে আমরা বাকি ২০% শিক্ষার্থীদের আলাদা করে রাখার মাধ্যমে টিকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারি। এছাড়া ক্যাম্পাস খোলার পর শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য দুটি এম্বুলেন্স, করোনা ডেক্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসক রাখার মাধ্যমে আক্রমণ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা পরিচালনা করার কথা জানান উপাচার্য।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণজনিত কারণে দীর্ঘদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে খুলে দেয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এবং ২১ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।