০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫৭

শুক্রবারও পরীক্ষা নিচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

আজ শুক্রবারও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার-শনিবারও সশরীরে সেমিস্টার/বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা নিচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। শিক্ষার্থীদের সেশনজটিলতার কথা মাথায় রেখে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও পরীক্ষা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের বর্ষ ফাইনাল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সশরীরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়ায় একটা পরীক্ষাজট তৈরি হয়েছে। সকল বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরাই ফর্মফিলআপ করে রেখেছে। কিন্তু সবার একসাথে পরীক্ষার সিডিউল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত প্রত্যেক বিভাগ থেকে তিন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সিডিউল দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও দেওয়া হবে।

এর আগে, গত ২৯ আগস্ট থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে গত ৪ অক্টোবর আবাসিক হলগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সশরীরে ক্লাসও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আজ শুক্রবারও আমরা পরীক্ষা দিচ্ছি। আমাদের ব্যাচের অন্যান্য অনেক ব্যাচের যখন সেমিস্টার ফাইনালও এখনো শুরু হয়নি। সেই জায়গা আমরা বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছি। এভাবে পরীক্ষাগুলো হয়ে গেলে মহামারি করোনা আমাদের যে ক্ষতি করেছে তা অনেকটাই লাঘব হবে।

করোনার দেড় বছরের দেশের অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ ছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ও। করোনার এ দীর্ঘ বন্ধে অনলাইনে ক্লাস নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ক্লাস হলেও কোন পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ হয়নি। ফলে দীর্ঘদিনের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি দীর্ঘ সেশনজটিলতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুব্রত কুমার দাস দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কোভিড -১৯ এর কারণে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সেশনজটিলতা নিরসনে শুক্রবার ছুটির দিনেও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা কোনভাবেই চাচ্ছি না শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আটকে থাকুক। আশা করছি এতে মহামারি জনিত যে ক্ষতি শিক্ষার্থীদের হয়েছে তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যাবে।