বশেমুরবিপ্রবি: টিনশেডে স্থানান্তর করা হতে পারে গণরুমের ছাত্রদের
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলোর গণরুম থেকে কিছু ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনে স্থানান্তর করার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (২ অক্টোবর) গণরুম সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ কথা জানিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব।
শিক্ষার্থীদের সিট সংকট কমে যাবে দাবি করে উপাচার্য বলেন, আমরা প্রথম ধাপে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিচ্ছি। এসকল শিক্ষার্থীদের অল্প কয়েকজন গণরুমে থাকায় তাদের একোমোডেশন নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না। আর ২০ তারিখ সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ১৭ তারিখের গুচ্ছ পরীক্ষায় আমাদের কিছু টিনশেড রুম ব্যবহৃত হবে।
পরীক্ষা শেষে আমরা রুমগুলোর অবস্থা দেখবো এবং সম্ভব হলে গণরুমের কিছু শিক্ষার্থীকে টিনশেডে স্থানান্তর করবো। এছাড়া যেসকল শিক্ষার্থী মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে কিন্তু এখনও হলে অবস্থান করছে তাদেরকেও আমরা হল ছাড়ার অনুরোধ করবো।
তবে রাতারাতি গণরুম বিলুপ্তি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট রয়েছে, তাই রাতারাতি গণরুম বিলুপ্ত করা সম্ভব নয়। কারণ গণরুমে যারা রয়েছে তারাও আমাদের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা অসম্ভব
এদিকে, গণরুমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে করছেন বশেমুরবিপ্রবির বিভিন্ন হলের গণরুমে বসবাসকারী শিক্ষার্থীরা।
শেখ রাসেল হলের গণরুমের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, একটি রুমে আমাদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর থাকতে হয়, একটি বেড দুজনের শেয়ার করতে হয়, একটি টেবিলে দুজনের পড়তে হয়। এক কথায় এমন পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা রীতিমতো অসম্ভব।
একই কথা জানালেন শেখ রেহেনা হলের গণরুমের শিক্ষার্থী ইরিনা। তিনি বলেন, গণরুমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা এক কথায় অসম্ভব। এছাড়া জায়গার সংকটের পাশাপাশি গণরুমের শিক্ষার্থীদের আরেকটি বড় সমস্যা ওয়াশরুমের সংকট। সবমিলিয়ে গণরুমে আমরা রীতিমতো মানবেতর জীবনযাপন করি।
অন্য সবার মতো এই অবস্থার অবসান চান ইরিনাও।
আগামী ৭ অক্টোবর থেকে প্রথম ধাপে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ২০ অক্টোবর দ্বিতীয় ধাপে সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বশেমুরবিপ্রবির আবাসিক হলসমূহ।
হলগুলোর প্রভোস্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বশেমুরবিপ্রবির পাঁচটি হলের প্রতিটিতেই একটি করে গণরুম রয়েছে। এসব রুমে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বসবাস করেন।