০১ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২৮

বন্ধ ঘোষণার পরও আন্দোলন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অবরুদ্ধ

বন্ধ ঘোষণার পরও আন্দোলন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অবরুদ্ধ  © সংগৃহীত

অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ওই শিক্ষিকাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (০১ অক্টোবর) সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনে ভেতরে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাজমুল হাসান পাপন বলেন, শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বহিস্কারের ঘোষণার পর আমরা অনশন ভেঙেছি। তবে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা মাঠে রয়েছি।

আরেক শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, আমরা যারা পুরাতন ছাত্র তারা ফারহানা ইয়াসমিনের রূঢ় আচরণ দেখেছি, অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। তাকে আর আমরা ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে, ভিতরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের খাদ্যও সরবরাহ করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই। তদন্তে যদি ন্যায় বিচার পাই, তবেই আন্দোলন বন্ধ হবে। নইলে আবারও আমরণ অনশনে যাব।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আব্দুল লতিফ জানান, শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের মূল গেট তালাবদ্ধ করে রেখে বাইরে অবস্থান করছে। তবে আমরা বাইরে কোনো কাজে যেতে চাইলে তারা খুলে দিচ্ছেন। ভেতরে তদন্তকাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারি প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন।

সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমুল হাসান তুহিন এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সব পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তাল ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে।