আমি কোনো শিক্ষার্থীর চুল কাটিনি: ফারহানা ইয়াসমিন
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি কোন শিক্ষার্থীর চুল কাটেননি এমনকি কারও চুলে হাতও দেননি বলে দাবি করেছেন।
শিক্ষার্থীদের চুল কাটার বিষয়ে ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার কাছে পুরো ব্যাপারটি শুনে অবাক লেগেছে। আমি পত্রিকায় দেখেছি খবরটা।
তিনি বলেন, ১৬ জন মানুষের চুল কেটে দেব, কেউ দেখবে না? তারা কোনো ছবি তুলবে না? আমি কাটতে চাইলাম আর ১৬ জন আমাকে চুল কাটতে দিল, কেউ কোনো প্রতিবাদ করবে না?
পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনে অসুস্থ ৫ শিক্ষার্থী, হাসপাতালে ভর্তি
একজন ছাত্রেরও চুল কি কেটেছিলেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, নাহ, একজনেরও চুল কাটিনি। কারও চুলে হাতও দিইনি। এরকম ঘটনা ঘটছে কি না, এই সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নাই। সোমবার সকালেও তারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কমিটির সদস্যরা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সভাপতি এবং রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে। ফুটেজে কাঁচি হাতে শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আগামীকালের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করলেও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যকে পদত্যাগ করেছেন ফারহানা ইয়াসমিন।