শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৫৫ PM , আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:১৪ PM
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কমিটির সদস্যরা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সভাপতি এবং রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে। ফুটেজে কাঁচি হাতে শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
তিনি বলেন, আমরা তদন্ত কমিটির সদস্যরা মিলে ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছি। আজও বৈঠক করব। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।
পড়ুন: ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টের রুল
ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি নিজেই কাঁচি হাতে ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বলে অভিযোগে ওঠে। সেই শিক্ষার্থীদের একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়।
এ পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন, যদিও তিনি শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
তদন্ত কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা খান মো. আরমান শোভন, সদস্য হিসেবে আছেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান বরুণ চন্দ্র রায়, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এবং সংগীত বিভাগের প্রভাষক ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য রওশন আলম।
পড়ুন: অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত না করা পর্যন্ত অনশন করার ঘোষণা
শিক্ষার্থীরা অনশনে
এদিকে, ওই ঘটনায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মত অনশনে চালিয়ে যাচ্ছেন একদল শিক্ষার্থী।
অনশনে অংশ নেওয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নোমান সিদ্দিকী শান্ত বলেন, আমরা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন মুক্ত ক্যাম্পাস চাই। এ কারণে প্রশাসনিক ভবনসহ অন্যান্য ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমাদের অনশন ও আন্দোলন চলবে।