৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৪৮

মাঠ রক্ষার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল  © টিডিসি ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মাঠ ধূপখোলা বেদখল ও খননকার্য বন্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় এই কর্মসূচি করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল কেদ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস পুরো ক্যাম্পাস প্রদিক্ষন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রধান ফটকের সামনে রাস্তা অবরোধ করে ও বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মাঠ রক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এসময় পুলিশ আন্দোলন বাধা প্রদান করে। শুরুতে পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটি হলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।

সমাজতন্ত্র ছাত্র ফন্টের  সহ-সভাপতি সুমাইয়া সোমা বলেন, আমাদের হলগুলো সব হাজী সেলিমের মতো দখলদার রা দখল করে নিয়েছে। এমনিভাবে আমাদের খেলার মাঠও তারা দখল করে নিচ্ছে। জগন্নাথ ইতিহাসের যা কিছু আছে সবকিছু দখল করে নিচ্ছে মনে হয়। ডিএনসিসি যদি এই মাঠের দিকে হাত দেয় তাহলে আমরা তা গুড়ে দিবো শিক্ষার্থীদের নিয়ে।  প্রশাসন যদি এই দাবি না মানে তাহলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হল আন্দোলনের মতো আরেকটা আন্দোলন দেখবে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী গাজী মুহাম্মদ শামসুল হুদা বলেন, এই ধূপখোলা মাঠের সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রানের স্পন্দন এই মাঠ। আমরা প্রয়েজনে সব বাঁধা ঠেলে আমাদের সম্পদকে রক্ষা করবো।

মাঠ আন্দোলনের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের এই আন্দোলনের সাথে কোনো ধরনের কুচক্রী মহল হাত দিলে তা আমরা প্রতিহত করবো। শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ মিছিলে আজ পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে কিন্তু আগামীতে বন্ধ হবে না। আমরা কঠোরভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবো এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে। আমরা আগামী রবিবারে ক্যাম্পাস থেকে মানববন্ধন করে মাঠে যাবো ইনশাআল্লাহ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায়। রাস্তা অবরোধ করে বেআইনি ভাবে আন্দোলন করলে পুলিশের দ্বায়িত্ব সে আন্দোলন রুখে দেওয়া। পুলিশ স্বাভাবিক অবস্থান রক্ষা করতে রাস্তা অবরোধ করতে নিষেধ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত পোষণ করি। মাঠকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরাও প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের এখনো কিছু জানায়নি।

উল্লেখ্য,  ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় ধূপখোলা খেলার মাঠটি তিন ভাগ করে এক ভাগ তৎকালীন সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহার করার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি খেলার মাঠ হিসেবে ধূপখোলা মাঠটিকে ব্যবহার করছে। এই মাঠেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।