২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:১২

আজও আন্দোলনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

স্থায়ীভাবে পদত্যাগ চান শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করার পর গণমাধ্যমে যাদের চুল কেটে দেওয়া হয়েছে তাদের তিনি ‘চেনেন না ও তারা শিক্ষার্থী কি না জানেন না’ বলায় আজ বুধবার সকাল থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন কর্তৃক কাঁচি দিয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তার দায়িত্বে থাকা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

‘যাদের চুল কেটে দিয়েছি তাদের চিনি না’ ওই শিক্ষিকার এমন মন্তব্যে আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এর রাতে সেই শিক্ষিকার কুশপুত্তলিকাও পুড়িয়েছে বিক্ষুদ্ধরা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুজন শিক্ষকও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে। 

রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত তার দায়িত্বে থাকা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকেই স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে শিক্ষার্থীরা এতে শান্তও হয়ে যায়। কিন্তু রাতে তিনি বেসরকারি টেলিভিশনে বলেন, আমি যাদের চুল কেটে দিয়েছি তাদের আমি চিনি না। তারা আমার শিক্ষার্থী কি না তাও বলতে পারব না। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ বলেন, গতকাল রাতে তিনি তার দায়িত্বে থাকা ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষকতার পদ থেকেও পদত্যাগ চাইছেন। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তখন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।