টিউশনির টাকা উদ্ধারে অভিভাবকের বিরুদ্ধে জবি শিক্ষার্থীর জিডি
টিউশনির পাওনা টাকা না পেয়ে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওয়ারি থানায় জিডিটি করেন জবির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. তানভীর আলম।
আর রাজধানীর ওয়ারি এলাকার র্যাংকিন স্ট্রিটের একটি ভবনের ষষ্ঠ তলার ভাড়াটিয়া মো. আজহারের বিরুদ্ধে জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানভীর আলম ও নাজমুল হাসান শিমুল নামের জবির দুই শিক্ষার্থী অভিযুক্ত আজহারের অষ্টম শ্রেণীতে পড়া মেয়েকে পড়াতেন। কিন্তু নিয়মিত টাকা পরিশোধ না করায় তাদের মোট ৭ হাজার ৫০০ টাকা বকেয়া রয়ে যায় ওই অভিভাবকের কাছে। পরে পাওনা টাকা দাবি করলে তানভীর ও শিমুলকে গালিগালাজ ও হুমকি দেন আজহার। এতে প্রতিকার চেয়ে থানায় জিডি করেন তানভীর।
এ বিষয়ে নাজমুল হাসান শিমুল বলেন, করোনাকালে এই টাকাটা আমাদের খুবই দরকার ছিল। কিন্তু এই দুঃসময়ে টিউশনির পাওনা টাকা না দেওয়াটা আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য অমানবিক।
ওই অভিভাবকের কাছে আরো ২ জন শিক্ষক টাকা পান দাবি করে শিমুল বলেন, তিনি (আজহার) সন্তানকে পড়িয়ে নেওয়ার পর আর টাকা দেন না। এক শিক্ষককে তিন-চার মাসের বেশি রাখেন না তিনি এবং সবার সাথে একই প্রতারণা করেন।
জিডির বিষয়ে অভিযোগকারী তানভীর বলেন, আমার সাথে আইসিটি কোর্স কমপ্লিট করে দেওয়ার চুক্তি ছিলো। পড়ানো শেষে টাকা চাইতে গেলে আমাকে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছে। গতমাসে টাকা চাইতে গেলে উনি আমাকে হুমকি-ধামকি ও গালাগালি দেন এবং টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার শিকার আমার পরিচিত আরও দুইজন। তারাও ওই ব্যক্তির কাছে টাকা পান।
একই বাসায় পড়িয়ে পাওনা টাকা না পাওয়া রুবেল নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি উনার মেয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন পড়াতাম। আমি তার কাছে দুই মাসের আট হাজার টাকা পাই। আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অভিভাবক আজহারের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে আজহারের বাসায় ফোন করা হলে প্রথমে তার ওই মেয়ে (ছাত্রী) তা রিসিভ করেন। তখন সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কথা না বলে ফোন তার ছোট ভাইকে দিয়ে দেন। এসময় তাদের অভিভাবকের সাথে কথা বলতে চাইলে বলেন, বাসায় কেউ নেই।
জিডির বিষয়ে ওয়ারি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহির বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। কোর্ট অনুমোদন আসার পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, জিডির বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি আমি। এ নিয়ে আমি থানায় কথা বলবো যেন বিষয়টি আরো গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। শিক্ষার্থীরা ন্যায্য টাকা যেন ফেরত পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।