বেরোবির ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের চার্জ গঠন
বিজয় দিবসে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। অভিযুক্ত ১৮ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট আমলি আদালতের বিচারক মো. আল মেহবুব জাতীয় পতাকা আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন। তবে আদালত এখন পর্যন্ত স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেনি।
ওই ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তা ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকার নকশা বিকৃতি করে নিজেদের মতো করে তৈরি করা পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্বাধীনতা স্মারকে ছবি তোলেন। সাবেক ভিসি ড. কলিমউল্লাহসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা প্রভাবশালী একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা পরবর্তীতে সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন।
পরদিন ১৯ জনের বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দায়ের করা পৃথক দু’টি অভিযোগের তদন্ত করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসন পৃথক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে পতাকা অবমাননার সত্যতা পেয়ে ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সাবেক উপাচার্য ড. কলিমউল্লার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।
পুলিশের দেওয়া তদন্ত রিপোর্টে নাম থাকা ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তা হলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আর এম হাফিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম ও শাহ জামান।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নুর আলম সিদ্দিক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ উল হাসান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সদরুল ইসলাম সরকার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সরকার।
এছাড়াও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চার্লস ডারউইন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রামপ্রসাদ বর্মণ, ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসেন, সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মো. রহমতউল্লাহ, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কাইয়ুম শারাফাত, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবু সায়েদ এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সেকশন অফিসার শুভঙ্কর চন্দ্র সরকারের নাম রয়েছে প্রতিবেদনে।