বিদেশী ছাত্রদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আইইউটির ছাত্রীদের

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি)’র দৃষ্টনন্দন প্রবেশদ্বার
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি)’র দৃষ্টনন্দন প্রবেশদ্বার  © সংগৃহীত

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি)তে বিদেশী ছাত্রদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন বিদেশী ছাত্রীরাই। এ ঘটনায় তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগ গুরুত্ব না দিয়ে বরং অপরাধীদের দায়মুক্তি দিচ্ছে।

আইইউটির বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ২৪ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় সব ব্যাচেই যৌন হয়রানীর ঘটনা বিদ্যমান থাকলেও অন্তত দুইটি ব্যাচে বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। তবে দুইটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের থেকে যৌন নির্যাতনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, যারা করোনা মহামারীর কারণে সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেননি।

‘অর্গানাইজেইশন অফ ইসলামিক কো-অপারেইশান’ (ওআইসি) পরিচালিত ‘ইসলামিত ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি’ (আইইউটি) ১৯৮৬ সালে ঢাকার অদূরে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকে ওয়াইসিভুক্ত দেশগুলোর শুধু ছাত্রদের পড়াশোনার সুযোগ রাখা হলেও ২০১৭ সাল থেকে ছাত্রীদেরও ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সন্ধা-আইন জারি করেছিল প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। মাগরিবের আগেই ছাত্রীদেরকে নিজস্ব ডর্মিটরিতে অবস্থানের নির্দেশনা আছে এবং ছাত্রদের সকাল দশটার দিকে ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এসেছে আইইউটির এমন বিরল আইন শুধু কাগজেই আছে, বাস্তবে তার কোন প্রয়োগ নেই।

ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ ব্যাচের উর্মি জাহান (ছদ্মনাম) জানান, ২০১৮ সালে একজন শিক্ষার্থী কর্তৃক শ্লীলতাহানীর শিকার হওয়ার ফলে তার জীবনের সকল হিসেব-নিকেশই বদলে যায়। উর্মি তখন অপরাধীর দৌরাত্ম দেখে এতটাই স্তব্ধ হয়ে যায় যে, কোন অভিযোগ করার সাহসও পায়নি। এরপর কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দায়ের করে উর্মি।

অভিযোগের এক মাস পর আইইউটির কয়েকজন শিক্ষক এবং নারী পরিদর্শকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উর্মি বলেন, তখন স্বাক্ষী দেখাতে না পারায় আমার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। আমি ন্যায়বিচার পাইনি এবং আমার শ্লীলতাহানীকারী মুক্তভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন