কেমন হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অনলাইন পরীক্ষা
সকল ডিসিপ্লিনের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর সকল বর্ষের প্রথম টার্মের ফাইনাল পরীক্ষা রবিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই পরীক্ষায় লোডশেডিং, ইন্টারনেটে গতি বিভ্রান্তি, নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যার কারনে ও সময়ের স্বল্পতার কারনে অনেকেই উত্তর পত্র দেরিতে সাবমিশন করেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেরিতে উত্তর পত্র আপলোড করায় কারও পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। স্ব স্ব ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তীতে এমন ধরনের ভুল না করে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্বশরীরে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চালু রাখা হত এবং ৬০ মার্কসের পরীক্ষায় ৩ ঘন্টা ধরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। তবে এবার অনলাইনে পরীক্ষা হওয়ায় দেড় ঘন্টায় ৩৬ মার্কসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে বলেছেন, যেহেতু অনেক কম সময়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে, সেহেতু শিক্ষকেরা খাতা দেখার সময় যেন সেটা বিবেচনায় আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এত অল্প সময়ে এত লিখে শেষ করা যায় না। শেষ করলেও ঠিকমতো উত্তর লেখা যায় না। প্রশ্ন সংক্ষিপ্ত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তেমন ছোট প্রশ্ন হয়নি। এবারের অনলাইন পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল থেকে গুগল ক্লাসরুম থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। এরপরে ৩৬ মার্কসের দুই সেকশনের নাম্বারের জন্য ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট পাবেন। এরপরে পরীক্ষা শেষে ৩০ মিনিটের মধ্যে উত্তর পত্র সাবমিশন করবেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ শারাফাত আলী বলেন, পরীক্ষার প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পরীক্ষা অনলাইনে সফল ভাবে করার চেষ্টা করেছি। সকল ডিসিপ্লিনে খোজ নিয়ে দেখা গেছে কোন ধরনের তেমন সমস্যা হয়নি। তবে ছোট ছোট ভুল আজকে হলেও পরবর্তীতে অন্য পরীক্ষায় এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন অনলাইন পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বলেন, এটা আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলাম। এ অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে দুর্যোগ বা মহামারির মধ্যেও শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এক্ষেত্রে আমরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হবো ।