ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার
করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ বন্ধের পর আবারও খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ কপাট। ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দিনের সশরীরে ক্লাস। ব্যতিক্রম হয়নি ঢাকা কলেজেও। দীর্ঘ প্রতীক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে ১ বছর ৫ মাস ২৪ দিন বন্ধের পর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারও মুখরিত হয়েছে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা কলেজের সশরীরে একাডেমিক কার্যক্রম। তবে আগত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি কঠোরভাবে দেখভাল করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সশরীরে ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীদের জ্বর, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট কিংবা যে কোন করোনার উপসর্গে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য কলেজেই স্থাপন করা হয়েছে আইসোলেশন সেন্টার।
আইসোলেশন সেন্টারে তাৎক্ষণিক অক্সিজেন সেবাসহ সার্বক্ষণিক একজন মেডিকেল অফিসার চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। মূল ফটক সংলগ্ন নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার ২০৩, ২০৪ নম্বর কক্ষ এবং প্রশাসনিক ভবনের লাইব্রেরি সংলগ্ন একটি কক্ষে নতুন আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সবধরণের উপকরণ।
মূলত অভিভাবকদের উদ্বিগ্নতা দূর করতেই কলেজ প্রশাসন এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান ঢাকা কলেজের পাঠ পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস।
তিনি বলেন, সশরীরে ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীরা বেশ উদ্যমী থাকলেও অনেক অভিভাবক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ঢাকা কলেজের সকল ক্লাস স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যে কোন পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজ প্রশাসনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
এছাড়াও সশরীরে ক্লাসের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।