শিক্ষার্থীদের বরণ করতে প্রস্তুত ঢাকা কলেজ
দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর ঢাকা কলেজে শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির সশরীরে ক্লাস। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর জন্য ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হচ্ছে সবরকম প্রস্তুতি। চলছে পুরোদস্তুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। যাবতীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও পূর্বপ্রস্তুতির জন্য বিভাগীয় শিক্ষকদের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিয়মিত কলেজে আসার নির্দেশনাও রয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় স্ব-স্ব বিভাগের কক্ষ, বারান্দা, ক্লাসরুম, সেমিনার কক্ষ, বিভাগীয় আসবাবপত্র, শ্রেণি কক্ষের দরজা-জানালা, বারান্দার ফুলের টব, পানির ফিল্টারের ফিল্টার পরিবর্তন, পানির পাম্প, খেলার মাঠে আশপাশ ও ছাত্রাবাস এলাকার ভবনসমূহ পরিষ্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরে দেখা যায়, উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই চলছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। এছাড়াও সশরীরে ক্লাসের ব্যাপারে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে ভার্চুয়াল আলোচনা এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে ঢাকা কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে ৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যা সাতটায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ এবং রাত নয়টায় দ্বাদশ একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের সাথে কলেজ প্রশাসন মতবিনিময় করবেন। এছাড়াও ৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাতটায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং রাত নয়টায় দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাদের সাথেও কলেজ প্রশাসন মতবিনিময় করবে বলেও জানানো হয়।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনেই সশরীরে ক্লাস সহ যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানান ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই আমরা সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করব।
অধ্যাপক মইনুল বলেন, স্বাভাবিক সময়ে যেসব শ্রেণীকক্ষ গুলোতেই আমরা ক্লাস নিয়েছি সেখানে এখন একসাথে সকল শিক্ষার্থীদের কে বসানো হবে না। বরং শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বাড়িয়ে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। একটি বড় কক্ষে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বসানো হবে না।