০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:২৭

ছেলেকে দিয়ে গাড়ি চালানো জাবির সেই সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সহকারী প্রক্টর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ওয়ার্ডেন মেহেদী ইকবালকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ ভার্চুয়াল সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মিটিংয়ের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (কাউন্সিল) বি এম কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগে দেখা যায়, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় আইন শৃঙ্খলার সুরক্ষার লক্ষ্যে সহকারী প্রক্টর ও ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি নিজের ১০-১২ বছরের ছেলেকে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিজেই আইন ভঙ্গ করেছেন। বিষয়টি সিন্ডিকেটে বিস্তারিত আলোচনার পর তাকে সহকারী প্রক্টর ও ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতির এই আদেশ সিন্ডিকেটের দিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট থেকেই কার্যকর হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নুরুল আলম জানান, সিন্ডিকেট মিটিং বেশ কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিষয়টি তার মনে নেই।   

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষক মেহেদী ইকবালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মাননীয় উপাচার্য মহোদয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। এ ব্যাপারে আমি আর কোন মন্তব্য করতে চাই না।

গত ৩১ জুলাই শিক্ষক মেহেদী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর হয়রানির অভিযোগ করেন জাবির সাবেক ছাত্র জহুরুল হক।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ঘটনার দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ স্কুটি চালিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপাচার্যের বাসভবনের নিকেটে পেছন থেকে একটি গাড়ি বারবার হর্ণ দিলে তিনি গাড়িটি চলে যাওয়ার সংকেত দেন। এরপর গাড়িটি ট্রান্সপোর্ট চত্বরে এসে হঠাৎ থেমে গেলে তিনি দেখেন যে, ১২ থেকে ১৩ বছরের একটি ছেলে (মেহেদী ইকবালের ছেলে) গাড়ি চালাচ্ছে।

জহুরুল হক তার অভিযোগে জানান, এসময় আমি ছেলের পরিবর্তে মেহেদী ইকবালকে গাড়ি চালাতে অনুরোধ করলে তিনি উগ্র ও মারমুখী আচরণ করেন।

পরে এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদন করেন জহুরুল। যার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে মেহেদী ইকবালকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।