মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি ইবি ছাত্রের, বিচার দাবি শিক্ষার্থীদের
বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সো:) কে নিয়ে কটূক্তি করা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়রে (ইবি) ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রিজভী আহমেদ ওশানের বিচার দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দবি জানান তারা।
সোমবার ( ৬ আগস্ট) প্রক্টর বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষার্থীরা। এ অভিযোগ পত্র দেওয়ার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, রিজভী আহমেদ ওশান আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, সেশন ২০১৮-২০১৯। উল্লেখিত শিক্ষার্থী কথিত ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ে ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটূক্তি ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিদ্বেষপূর্ণ মনােভাব সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে প্রকাশ করছে। তাই এ সময় কর্মকাণ্ড সংবিধান বিরােধী ও ছাত্রলীগকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমাণ করার এজেন্ড্রাহ্মপ বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করেন। অতএব, তাব কর্মকান্ড পর্যালােচনা করে তার বিরুদ্ধে প্রয়ােজনীয় জইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জন্য জনাবের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
জানা গেছে, হযরত মোহাম্মদকে (সো:) নিয়ে কটূক্তি করা রিজভী আহমেদ ওশান নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমটির সদস্য।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, ব্যাক্তিগতভাবে এই ছেলেকে না চিনলেও অনেক আগে থেকেই এর বিরুদ্ধে মারধর/হুমকি দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ শুনেছিলাম। পরবর্তীতে জানতে পারি সে ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে কটাক্ষ করে। সম্প্রতি রাসূলুল্লাহকে (সা.) নিয়ে জড়িয়ে দেয়া স্ট্যাটাস অত্যন্ত আপত্তিকর। আমার ধারণা মতে সংগঠনকে বিতর্কিত করা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করাই এদের লক্ষ্য। এর বিরুদ্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, সম্প্রতি তার দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে সে মহানবী সা. এর সম্মানে আঘাত করেছে। কেননা চন্দ্রনাথ পাহাড়ে কেউ উস্কানিমূলকভাবে আযান দিলে সেটা দেখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। কিন্তু ঐ বিষয়ের সাথে তুলনা করে মহানবী সা. কে কটূক্তি করার বৈধতা দিতে চাওয়া চরম অন্যায়।আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, নবীকে কটূক্তি করে সে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। আর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া মারাত্মক অপরাধ। অপরাধী যে দলের হোক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই।
অভিযুক্তকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পত্রটি হাতে পেয়েছি। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত শুক্রবার নবীকে কটূক্তি করে ওশান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওশানকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ওশানরের এ স্ট্যাটাস ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে বলে মন্তব্য করেন ও শাস্তি দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার বিচার দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।