০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২৪

সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে ভিসিদের সঙ্গে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নিজেই  © ফাইল ফটো

আগামী অক্টোবরের আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহে ভিসিদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নিজেই এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে আমরা গত মাসের শেষে একটি সভা করেছিলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়ে দিতে পেরেছি। যারা অনাবাসিক তাদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। যাদের এনআইডি আছে তাদের তো সমস্যা নেই। যাদের এনআইডি নেই তাদেরও দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, অন্ততপক্ষে সব শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার। সেটার আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল। এখন যে পরিস্থিতি তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে ভিসিদের সঙ্গে হয়তো বৈঠক করবো ইনশাল্লাহ। সেখানে অবস্থা আবারও পর্যবেক্ষণ করে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট ও একাডেমিকভাবে হয়ে থাকে। তাই এ সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করবো।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা পায়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৮-এর বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া যখন শুরু হয়, তার মধ্যে যাদের এনআইডি আছে তাদের নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। তারা কী পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি সাত কলেজের সেটা দেখা হয়নি। কাজেই যে কোনো শিক্ষার্থীর বয়স যদি ১৮ বছরের ওপরে হয়, তার এনআইডি থাকলে এখনি তিনি নিবন্ধন করতে পারেন। এখন তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারেন। যার এনআইডি নেই তার জন্যও বিকল্প ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার আমরা দেখছি সংক্রমণের হার দ্রুত কমছে। অভিজ্ঞতা বলছে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কম থাকে। আর টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছে সে বিবেচনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করব।

ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, মাস্ক পরা ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সকলের মাস্ক পরতে হবে। একেবারে কমবয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কি না তা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।