কবে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়?

ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে কবে?
ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে কবে?  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি তিনি।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল চাইলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো খুলে দিতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থাৎ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারবো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে আমরা আবারও বসবো। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল নেবে।

“আমরা উপচার্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা চেয়েছিলেন যে, অন্ততপক্ষে সব শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারলে ভালো হয়। সে অনুযায়ী অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আবার তাদের সঙ্গে কথা বলবো। তারা যদি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একই সঙ্গে খুলতে রাজি হলে খুলবেন কিংবা ওনারা ভিন্ন কোনও তারিখও নির্ধারণ করে নিতে পারেন।”

শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে সরব থাকা শিক্ষার্থীরা বলছেন, সবার সাথেই যেন খোলে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো নিয়ে তারপরে আমরা তারিখগুলো নির্ধারণ করবো যে কবে আবাসিক হল খুলবো, কবে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তারপরে একটা পূর্ণাঙ্গ সময় দেয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে পূর্বের যে রোডম্যাপ ছিল সে পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা অগ্রসর হচ্ছি। যেমন: শিক্ষার্থীদের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা কার্যক্রমের আওতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরে আমরা পর্যালোচনা করে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিদ্ধান্ত করে তারিখ নির্ধারণ করতে পারবো। আবাসিক হল কবে খোলা যাবে সেই তারিখটা তখন আমরা বলে দেব।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার বলেন, আমরা চাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে। কিন্তু স্কুল-কলেজের মতো হঠাৎ করেই তো খুলতে পারবো না। আমাদের হল খুলতে হবে, শিক্ষার্থীদের টিকাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়গুলো আগে পেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‌বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম অক্টোবরের মাঝামাঝি। তাদের (সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল) সঙ্গে কথা বলবো। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যদি খুলতে চান খুলবেন, কিংবা যদি ভিন্ন তারিখ নির্ধারণ করেন করবেন, সেটা তাদের বিষয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত দেয় করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও। এদিন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের জেরে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম এতো লম্বা সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ