যবিপ্রবির শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত  © টিডিসি ফটো

লেখা চৌর্যবৃত্তি সংক্রান্ত অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের নাম মো. আমজাদ হোসেন। তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৭০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অতিদ্রুত সশরীরে বা অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের একটি লেখা যবিপ্রবির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন নিজের নামে বাংলাদেশের দুটি পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। পরে এ নিয়ে মূল লেখক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে সভায় রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ও সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো: সলিমুল্লাহকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটিকে এ ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না সেটি আমলে নিয়ে আগামী ২২ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অর্ডিন্যান্স রয়েছে। অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে কোনো অর্ডিন্যান্স না থাকায় যবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিল একটি নীতিমালা রিজেন্ট বোর্ডে পেশ করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেটিও পাশ করা হয়। করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ হার বিশ্লেষণ করে অতিদ্রুত সশরীরে বা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুল মজিদ, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো: সলিমুল্লাহ, সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ।

আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম শাহি আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন, যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ-উদ-দৌলা, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমূখ।


সর্বশেষ সংবাদ