০৯ আগস্ট ২০২১, ১৬:১৯

জাককানইবি শিক্ষকদের অনাগ্রহে ১১ বছরেও খোলেনি স্নাতকোত্তর

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

এগারো বছর আগে ২০১১ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ। কিন্তু এগারো বছরেও শুরু হয়নি স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে ১০ শিক্ষক দিয়ে চলছে ইইই বিভাগের স্নাতক কার্যক্রম। যদিও তাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষা ছুটিতে আছেন। ল্যাব, শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটের অজুহাতে বিভাগে স্নাতকোত্তর কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করছেন শিক্ষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিতে এ-সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাবই তোলা হয়নি। বরং একাধিক সভায় শুরু না করার বিষয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরা।

বিভাগীয় প্রধান মো. মাহমুদুল হাসান জানান, স্নাতকোত্তর চালুর বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিত কোনো প্রস্তাব তারা দেননি, সহসা দেওয়ার পরিকল্পনাও নেই। তবে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবসহ সব ধরনের সংকট দূর করে চালুর পক্ষে বলে জানান তিনি।

তবে সংকট দূর করার আশা জানালেও তার প্রমাণ মেলেনি বিভাগটির কার্যক্রমে। এখন পর্যন্ত পাঠক্রম তৈরি এবং স্নাতকোত্তর বিষয়ে কোন প্রকার বিভাগীয় সিদ্ধান্তও নেননি তারা।

অন্যদিকে এতো বছর পরেও স্নাতকোত্তর না চালু করাকে অন্যায় এবং শিক্ষার্থীদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। তিনি বলেন, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে কেবল স্নাতকের অনুমোদন পেলেই সেই বিভাগ একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে স্নাতকোত্তর, এম ফিল, পিএইচডি পর্যন্ত করা যেতে পারে। এমনকি তারা ডিপ্লোমাও করাতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘বিভাগ স্নাতকোত্তর চালুর বিষয়ে প্রয়োজনবোধ করেনি বলেই আমাদের লিখিত জানায়নি। তবে সম্প্রতি বিষয়টি উপাচার্যের নজরে আসার পর তিনি বিভাগকে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এত বছরেও স্নাতকোত্তর চালু না হওয়া আমাকে অবাক করেছে। বিষয়টি জানার পর আমি কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছি। ’

শুধু তাই নয়, স্নাতক শ্রেণীর পরিচালনাতেও বিভাগটির নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগ, রয়েছে তীব্র সেশনজটও। বিভাগটির সেশনজট নিয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে বিভাগটির সাবেক প্রধান লিটন কুমার বিশ্বাসের নামে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। আমি দেশে ফিরে যেদিন জয়েন করব, সেইদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করব।