শিক্ষকদের রাজনীতিতে জাককানইবিতে ৩ মাসেও নিয়োগ হয়নি ছাত্র উপদেষ্টা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পার হলেও পদটিতে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগ আটকে থাকার জন্য শিক্ষকদের গ্রুপিং রাজনীতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০০৬ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপক পদের কাউকে পরিচালক পদে নিয়োগের নিয়ম রয়েছে। তবে ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা পদে নিয়োগের ক্ষমতা উপাচার্যকে দিয়েছে সিন্ডিকেট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষকদের তিনটি গ্রুপ পদটিতে চারুকলা বিভাগের ড. তপন কুমার সরকার, ড. সিদ্ধার্থ দে সিধু এবং লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের হাফিজুর রহমানের (আবির) নাম প্রস্তাব করায় বিপাকে পড়েছেন উপাচার্য।
এদিকে শিক্ষক নেতারা বলছেন, একাধিক নাম আসতেই পারে। প্রশাসক হিসেবে যোগ্য একজনকে বেছে নেবেন উপাচার্য। তিনি সেটি না করে শিক্ষকদের দুষছেন।
সাবেক ছাত্র পরামর্শক ড. শেখ সুজন আলী বলেন, ‘এমনিতেই পদটি গুরুত্বপূর্ণ। করোনাকালে তা আরও বেড়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত দায়িত্বশীল কাউকে নিয়োগ দেওয়া।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘ক্ষমতাবলে উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারেন। কিন্তু ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কায় এটি সিন্ডিকেটের ওপর দিয়েছেন। আগামী সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "শিক্ষকরা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। ছাত্র পরামর্শক পদে তারা পৃথকভাবে তিনজনের নাম দিয়েছেন। সবাই মিলে একটি নাম দিতে বলেছি আমি। গ্রুপিং বাদ দিয়ে একটি নাম দিক, আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবো।"
তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষকরা এক হতে পারেননি। আমার কাছে সবাই সমান, কাকে রেখে কাকে প্রাধান্য দেব! এজন্য আমি নিয়োগ দিচ্ছি না।'
দ্রুতই ছাত্র পরামর্শক নিয়োগের দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত তিন মাস ধরে না ছাত্র পরামর্শক না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা ঝুলে আছে। নিয়োগ না দিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।