জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ হচ্ছে কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক কোর্স
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন আসছে। অনার্স ও মাস্টার্সে চাকরির বাজারের সঙ্গে মিল রেখে কীভাবে কর্মমুখী কোর্স চালু করা যায় সেসব নিয়েই ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের অনার্স বা তিন বছরের কোর্সের সঙ্গে টেকনিক্যাল অথবা জব ওরিয়েন্টেড সাবজেক্টের একটি পুল অব কোর্স সংযুক্ত থাকবে। এসবের সঙ্গে থাকবে কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক কোর্স।
জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বিষয়ে গত ১ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী, সচিব, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মাউশির ডিজি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্যসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আলাপ-আলোচনা শেষে কারিকুলাম তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক হলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সদস্য সচিব হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন।
এছাড়াও কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল, বুয়েট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) একজন করে প্রতিনিধি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়), মাউশি ও কারিগরি অধিদফতরের ডিজি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ডিন সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন বলেন, আমরা দুটি মিটিং করেছি। ডিনদের ফিজিবিলিটি যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা যাবে। আপাতত এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।
কমিটির সদস্য ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম রিভাইস করা হচ্ছে। তাতে কয়েকটি কোর কোর্স এবং কয়েকটি অপশনাল কোর্স থাকবে। চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স বা তিন বছরের কোর্সে শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ে পড়বেন, সেটির সঙ্গে টেকনিক্যাল অথবা জব ওরিয়েন্টেড সাবজেক্টের একটি পুল অব কোর্স সংযুক্ত থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্সে ট্র্যাডিশনাল (গতানুগতিক) কোর্স পড়ানো হয়। তাই কর্মমুখী ও চাহিদা ভিত্তিক কোর্স পড়ানো দরকার। যাতে চাকরির বাজার এবং চাহিদার সঙ্গে মিল থাকে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের সিলেবাসে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা যায় কিনা এর সম্ভাব্যতা যাচাই করা দরকার।