কর্মমুখী শিক্ষা চালু উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে
সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার লক্ষ্যে নানান কর্মমুখী শিক্ষা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। এছাড়া চলমান শিক্ষা প্রোগ্রামগুলোকেও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, উন্মুক্ত শিক্ষার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামগুলোকে বিশ্বমানের করে তোলার জন্য উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিতে সংযুক্ত। তাই উন্মুক্ত শিক্ষার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামগুলোকে বিশ্বমানের করে তোলার জন্য সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিবান্ধব করতে শিগগিরই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ দিতে বছরব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষা কার্যক্রম প্রয়োজন অনুযায়ী ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে উপাচার্য নিয়মিত না থাকায় আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়া করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতোই গত এক বছরে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়াও সম্ভব হয়নি। গত ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতারকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন বলেন, চাকরি, ব্যবসা, উদ্যোক্তা তৈরিই হবে বাউবির শিক্ষা প্রোগ্রামের লক্ষ্য। বাংলাদেশসহ বিশ্বের চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষাকে গণমুখী করা হবে। পাশাপাশি ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট লেভেলের প্রোগ্রাম চালু এবং কর্মমুখী শিক্ষা চালু করা হবে। বেকারত্ব দূর করার জন্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই শিক্ষা প্রোগ্রামগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলাই আমার লক্ষ্য।
উপাচার্জ আরও বলেন, যেসব বিষয়ে মাস্টার্স খোলা সম্ভব হয়নি, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে সেসব বিষয়ে দ্রুত মাষ্টার্স প্রোগ্রাম চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এলএলবি অনার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের জন্য এলএলএম চালুর বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় আনা হবে বলে জানান উপাচার্য।