০৭ জুলাই ২০২১, ২২:৪৩

বাড়ি ফিরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চান ইবি শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পার্শ্ববর্তী মেস ও বাসাবাড়িতে বিভিন্ন করণে অবস্থান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী। চলমান লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় আসন্ন ঈদুল আযহায় বাড়ি না ফিরতে পারার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে বিভাগীয় শহরে পৌঁছানোর দাবি উঠেছে। এই দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। আজ বুধবার দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তের সংবাদ জানতে পারে শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে বাসাবাড়ি বা মেসে হঠাৎ সিট না পাবার আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা গত ঈদুল ফিতরের পরপরই ক্যাম্পাস আশেপাশের বিভিন্ন মেস ও বাসাবাড়িতে অবস্থান শুরু করে। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিদ্যমান লকডাউনে দূরপাল্লার সকল গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে নিজ বাড়িতে পৌঁছে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে না পারার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় উক্ত অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে এবং পরিবারের সাথে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপনের ব্যবস্থা করতে দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগীয় শহরে নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে ছাত্র মৈত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরিবহন প্রশাসকের বাস পাঠানোর এখতিয়ার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ পর্যন্ত। এর বাইরে ক্যাম্পাসের বাস পাঠালে ভিসি স্যারের অনুমতি লাগবে। ভিসি স্যার অনুমোদন দিলেই আমি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ভিসি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে কতজন শিক্ষার্থী আছে এর একটা পরিসংখ্যান বের করতে। কোন কোন জেলায় কতজন শিক্ষার্থী আছে এটা বের করতে পারলে একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘স্মারকলিপিটা পেয়েছি। এটা নিয়ে আমি প্রক্টরের সাথে কথা বলেছি কোথায় কেমন শিক্ষার্থী আছে একটা পরিসংখ্যান দিতে। শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে একটা পরিকল্পনা নিতে বলেছি প্রক্টরকে।’