হাসপাতাল কিংবা মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন খুবির ফ্রী অক্সিজেন ফেরিওয়ালারা
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের যেকোন দূর্যোগকালীন মূহুর্তে, সংকটে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে এসেছেন সবসময়। বাকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই কথাটি আবারো প্রমাণ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে খুলনার হাসপাতালগুলোতে যেমন বেড়েছে অতিরিক্ত করোনা আক্রান্ত্র রোগীর সংখ্যা তেমনি প্রয়োজন পড়ছে অক্সিজেনের। চাহিদার তুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডার অপ্রতুল হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। আর এই সংকটকালীন মুহূর্তে সুপারম্যানের মতো পাশে দাঁড়িয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সংগঠন। তারা এগিয়ে এসেছে জরুরি ফ্রী অক্সিজেন সেবা নিয়ে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।
এসব সংগঠনের সদস্যরা মুঠোফোনে ফোন কল পেয়েই ফেরিওয়ালারদের মত ফ্রী অক্সিজেন সেবা নিয়ে ছুটে চলেছেন হাসপাতালের বারান্দায় কিংবা মানুষের দ্বারে দ্বারে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন ইউনিটের (খুলনা জোন) আওতায় 'অক্সিজেন ব্যাংক' এবং অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোটার্যাক্ট ক্লাব অফ খুলনা ইউনিভার্সিটি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (কুয়া) যৌথ উদ্যোগে 'রোটার্যাক্ট কুয়া অক্সিজেন ব্যাংক'।
এই অক্সিজেন ব্যাংকগুলোর আওতায় অগ্রাধিরকার ভিত্তিতে খুবির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বর্তমান শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, রোটার্যাক্ট ও রোটারিয়ান এবং খুলনার মানুষেরা এই অক্সিজেন সেবা পাচ্ছেন। 'অক্সিজেন ব্যাংক' এর ব্যাপারে বাঁধন খুবি ইউনিট সংগঠন থেকে জানান,তাদের প্রাথমিকভাবে মাত্র পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছন। সবার সহযোগিতায় পর্যায়ক্রমে সিলিন্ডার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সংগঠনটির সেবা পেতে যোগাযোগ করতে হবে তাদের ০১৯২৪৩৯৩১৭৩ ও ০১৯৫২৩১৮১১৩ মোবাইল নম্বরে।
'রোটার্যাক্ট কুয়া অক্সিজেন ব্যাংক' এর ব্যাপারে উক্ত সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ১১টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে আরও সিলিন্ডার বাড়ানো হবে।সংগঠনটির সেবা পেতে যোগাযোগ করতে হবে তাদের ০১৯৪৩৫০১২৩৮ ও ০১৯৮০৪৪৫৪২৪৩ মোবাইল নম্বরে।
জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংগঠন গুলো বিভিন্নভাবে খুলনায় বন্যা দুর্গত মানুষদেরকে এবং করোনায় নিম্নবিত্ত মানুষদেরকে সারাবছর ব্যাপী ত্রাণ বিতরণ করে মানুষের পাশে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা চালু করেছেন। মানুষদের নিকট থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়েই উক্ত সংগঠনগুলো ফ্রী অক্সিজেন সেবা চালু করেছেন এবং এটা অব্যাহত থাকবে। অনলাইনে দেওয়া মুঠোফোনে ফোন করলেই মানুষ এ সুবিধা গুলো পাবেন।