‘প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই’
কোভিড-১৯ মহামারিতে সরকার ঘোষিত চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাগ্রহণের আহবান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার সময়ে আমরা নিজেদেরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি। এই সময়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত “কর্মকর্তাদের আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ” শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
প্রথম ধাপে ১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ জন সেকশন অফিসার অংশগ্রহণ করেন। পর্যায়ক্রমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এই প্রশিক্ষণ বছরব্যাপী চলবে। ১৫ দিনব্যাপী চলা এই প্রশিক্ষণের মডিউলে আইসিটি বেসিকস, অরগানাইজেশনাল বিহেভিয়ার, অফিস ম্যানেজমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস, সাইবার সিকিউরিটি, কম্পিউটার ইন্টারনেট সিকিউরিটি, মাইক্রোসফট অফিস, গুগল মিট, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, ই-ফাইলিংসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত রয়েছে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, বিশ্বনাগরিক হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে তৈরি করতে হলে কর্মকর্তাদের যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তা মোকাবেলায় জয়ী হতে হবে। একজন প্রতিশ্রুতিশীল কর্মীকে প্রতিদিনই আপডেট থাকতে হয়। নতুন নতুন তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে কর্মক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নে অগ্রসর ভূমিকা পালন করতে হয়। তা নাহলে নিজেকে পিছিয়ে পড়তে হয়। কর্মের প্রতি যদি ডেডিকেশন না থাকে তাহলে এক সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে বৈকল্যের মধ্যে পড়তে হয়। আপনারা ভাগ্যবান যে আপনাদের কাজ করার যথেষ্ট অপারচুনিটি রয়েছে। আর যদি এই সুযোগ কাজে না লাগান তাহলে আপনারা হবেন দুর্ভাগা। আপনাদের মনে রাখতে হবে কাজই আপনার আত্মসম্মান ও মর্যাদা বাড়াবে। আপনাদের মধ্যে তারুণ্যের ও সৃজনশীলতার উদ্যমটা আমরা দেখতে চাই।
মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দপ্তরের পরিচালক জয়ন্ত ভট্টাচার্য্যরে পরিচালনায় প্রশিক্ষণে কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে যুক্ত ছিলেন রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, প্রশিক্ষকবৃন্দসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।