মুঠোফোনে কোনো বক্তব্য দেবেন না জাককানইবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে টেলিফোনে সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।
সোমবার (৩১ মে) করোনা মহামারীর কারণ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিবেদক ফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে আমি কোন বক্তব্য দিচ্ছিনা। আর টেলিফোনে আমি কোনো বক্তব্যও দেবো না।
তিনি বলেন, যে টাইমই হোক, আমি তো করোনা টাইমে অফিসে আসছি, মিটিং করছি। তুমি অফিসে আসো, তখন কথা হবে, নিরাপদে থাকো বলে ফোন কেটে দেন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপাচার্যের আলাপচারিতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে আসে। যা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
টেলিফোনে উপাচার্যের বক্তব্য না দেয়া প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বেলালি (মারুফ) বলেন, করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যেও সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রকাশে কাজ করে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সত্যতা যাচাই করেই সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, এই সময়ে উপাচার্য স্যারের মুঠোফোনে বক্তব্য না দেয়ার বিষয়টি স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত। যেখান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ সেখানে তিনি বলছেন দপ্তরে আসতে! আর তাছাড়া তিনি সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে বক্তব্য দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক। উপাচার্য স্যারের এমন সিদ্ধান্ত ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার জন্যে হুমকি স্বরূপ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় ব্যাচ অনুসারে সশরীরে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এদিন দুপুর ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে এ সভা শুরু হবে।