অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে জবি নীল দল
করোনাকালীন সংকট উত্তরণে অনলাইন কিংবা বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল। এতে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ ও পদোন্নতি বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ মে) জবি নীলদল (একাংশ) সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (দায়িত্বপ্রাপ্ত) কাছে এক লিখিত বিবৃতিতে এসব দাবি জানায়।
তাদের দাবিসমূহ হলো-
১) করোনাকালীন সংকট উত্তরণে অনলাইন কিংবা বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া এবং ক্লাস শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
২) সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহের অনিয়মতান্ত্রিক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারপূর্বক স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদসমূহ একই ব্যাক্তিকে একাধিকবার না দেয়া এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪) প্রক্টর,বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদানে পক্ষপাতমূলক আচরণের অবসান।
৫) সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ ও পদোন্নতি বিষয়ে অনিয়মের যেসকল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার যথার্থতা ও সঠিকতা নির্ধারণের লক্ষ্যে অতি সত্তর নিরপেক্ষ তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন।
৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখালেখি করা থেকে বিরত থাকার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের পক্ষ থেকে অনুরোধ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, কোভিড-১৯ জনিত সাম্প্রতিক ভয়াবহতার কারণে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হলেও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসমূহ বন্ধ রয়েছে যা শিক্ষার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
“জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভিনিং প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী বিভাগসমূহ সংশ্লিষ্ট অনুষদ ও সিন্ডিকেটের অনুমতি ও অনুমোদন সাপেক্ষে বিভাগ কর্তৃক আরোপিত নির্দিষ্ট শর্ত ক্রাইটেরিয়া অর্জনকারী যোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেই বাছাই পূর্বক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে প্রাক্তন উপাচার্য বিষয়টি অনুষদ কিংবা সিন্ডিকেটসহ কোন ফোরামে আলোচনা না করে ইভিনিং প্রোগ্রাম স্থগিত করে দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ইভিনিং প্রোগ্রাম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ইভিনিং প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সকল ধর্মই শান্তি,সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম।ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে আমাদের কোন কোন সহকর্মী অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করছেন যা অনাকাঙ্খিত।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।