২৪ মে ২০২১, ১৪:২৫

ঢাবি ছাত্র হাফিজুরের লাশ: হত্যা নাকি আত্মহত্যা?

মৃত হাফিজুর রহমান  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের নিখোঁজের ৯ দিন পর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। পুলিশ ও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন ঘটনাটি ছিল আত্মহত্যা। তবে বন্ধুমহল ও অনেকেরই দাবি সরাসরি আত্মহত্যা বলার আগে প্রয়োজন সঠিক তদন্তের। সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন হাফিজুরের মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা?

এর সঠিক তদন্তের আহবান জানিয়েছেন ঢাবি শিক্ষকসহ হাফিজুরের সহপাঠী ও সহকর্মীরা। মূকাভিনয় শিল্পী হাফিজুর ছিলেন হাসিখুশি ও প্রাণচঞ্চল। তার হঠাৎ এই রহস্যজনক আত্মহত্যার সংবাদে অনেকেই হতবাক। 

পুলিশের ভাষ্যমতে, গত ১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে একজন লোক ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলায় নিজেই কাটতে থাকে আর বলতে থাকে 'আমাকে মাফ করে দাও', 'আমাকে মাফ করে দাও'। তার পরনে ছিল একটা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট আর খালি গা। রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াদৌড়ি করতে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ লোকজনের সহায়তার ধরে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রিকশা থেকে লাফ দেয়। এরপর তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপ দেখে ওটিতেও নেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনি রাত সোয়া ১০ দিকে মারা যান।'

প্রত্যক্ষদর্শী ওই ডাব বিক্রেতাও বলছেন একই কথা। 

কিন্তু তার সহকর্মী ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সভাপতি লিজাইনুল ইসলাম রিপন বলছেন, নিখোঁজের আগ মুহুর্তে ও মৃত্যুর সময় তার গায়ে পরিহিত পোশাকের মিল নেই। তাই ওই ঘটনার আগে সে কোথায় ছিল বা কোথা থেকে এসেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।  

আরও পড়ুন

ঢাবি শিক্ষার্থী ও মূকাভিনয় শিল্পী হাফিজুর ৮ দিন ধরে নিখোঁজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, শহীদ মিনার এলাকাটি যথেষ্ট জনবহুল এলাকা। একটা ছেলে দা নিয়ে নিজের গলায় চালিয়ে নিল আর কেউ কিছু দেখল না কোনো ভিডিও হলো না বা লোক সমাগম তৈরি হলো না এটা বিশ্বাসযোগ্য না।

ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন এই ঘটনা বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে কিছু যৌক্তিক প্রশ্ন তুলেছেন এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। 

মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ও পুরো ঘটনা জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার দাবি জানিয়েছে অনেকেই। সবার মনেই এক প্রশ্ন এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা? হাফিজুরের পরিচিতজনেরা, পরিবার ও বন্ধুরা এ বিষয়য়ে প্রশাসনের কাছে পুনরায় হস্তক্ষেপ ও সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে।