‘গণপরিবহন, শপিংমল, পর্যটনকেন্দ্র খোলা- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন?’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় সরকারকে উদ্দেশ্য করে এক শিক্ষার্থী বলেন, গণপরিবহন, শপিংমল, পর্যটন কেন্দ্র খোলা রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ রেখেছেন?
সোমবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটরে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা ডিসিপ্লিনের সাইফুল্লাহ মনসুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার দাবি জানান।
এসময় বাংলা ডিসিপ্লিনের ছাত্র সাধন মন্ডল বলেন, প্রতিবার ধাপে ধাপে ছুটি বাড়িয়ে বলা হচ্ছে- এখনই খুলে দিলে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হবে। শিক্ষার্থীদের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন, শপিংমল, পর্যটন কেন্দ্র খোলা রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ রেখেছেন?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মেরুদণ্ডহীন ও বেকারত্ব করার পায়তারা চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না করলে শিক্ষার্থীরা আজকে যে সাধারণ কর্মসূচী পালন করেছে, এর চেয়েও আর কঠোর কর্মসূচী পালন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সব কিছু খোলা রেখে শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো মানেই হয় না, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা অতিদ্রুত আমাদের ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ সেশনজট না বাড়িয়ে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করুন।
শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমলাদের সাথে নয় আমাদের শিক্ষকদের সাথে কথা বলুন। তারা অবশ্যই ভালো সিদ্ধান্ত এবং পরামর্শ দিবে। বাড়ি থেকে অনেকেই বিপথে চলে যাচ্ছে। বিপথে যাওয়ার আগেই তাদের ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আজ কাল না করে অতি দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন, তা না হলে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
রমজান শেখ তারিম বলেন, করোনার এই দীর্ঘ সময়ে কতোজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আর কতোজন মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে যাচাই করে দেখুন। শিক্ষার্থীদের মেন্টাল প্রেসার থেকে মুক্তি দিতে আশা করছি সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।