ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জবি শিক্ষার্থীরা
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও কামান হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অর্থ সহায়তা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একদিনব্যাপী সংগ্রহ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে গিয়ে প্রায় ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দিয়েছেন।
গত সোমবার (১৭ মে) ইসরায়েলের নৃশংসতার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য গণঅনুদান আহ্বান করে ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস। যেখানে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক অর্থ লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম বিকাশ, নগদ ও রকেটে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি সরাসরি বারিধারায় দূতাবাসে গিয়েও অনুদান জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়।
দূতাবাসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া তার কিছু সহপাঠী ও পারিবারিক প্রচেষ্টায় দূতাবাসে ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন। এ উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি 'ফিলিস্তিনের জন্য জবিয়ানদের উপহার' শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে এবং ফান্ড কালেকশন করার উদ্যোগ নেয়।
গত বুধবার (১৯ মে) থেকে শুরু হওয়া এই তহবিল সংগ্রহ পরদিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালানো হয়। একদিনে এই উদ্যোগে মোট সংগ্রহ হয় প্রায় ১৯,৫০০ টাকা। যার মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ দূতাবাসে পৌঁছে দেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ফিলিস্তিন দূতাবাস প্রদানকৃত নগদ নাম্বারেও পাঠানো হয়েছে আর্থিক সাহায্য।
মানবিক এই উদ্যোগের ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনের আহত মানুষদের সহায়তা করার বিষয়টি নজরে আসলে আমরা ব্যক্তি উদ্যোগে এ কাজটি করি।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, প্রথমে বিষয়টি পরিবার,সহপাঠী ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি। পরবর্তীতে খন্দকার আশিক, সুজয় কুমার দাস, রাইনুমা শিফা, মাশা মীম, ইমরান হোসাইন আদিব, সাইফুর রহমান সাজিদ, আমেনা ভুইয়া, তাসনিম মীম, জেমি, মুন্না মুসলিমা মিতা, হাসিব আলী, সাহস, জুলফা, তাসমী, ফয়জুল্লাহ, তামিম, রোমেল, মাহির মিয়াদ, জুথি, কাওকাব, অমি, নাফিজ প্রমুখ শিক্ষার্থীর উদ্যোগে দূতাবাসে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দেশেও যারা অসহায় বা দুর্দশাগ্রস্ত আছে আমাদের সবার উচিত ব্যাক্তিগত বা সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী একরামুল কবির রাকিব বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দূতাবাসে ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছানোর মাধ্যমে আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। তাই মানসিকভাবে আমাদের ভালো লাগা কাজ করছে।