শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ২৪ মে সারাদেশে মানববন্ধন

এর আগেও হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে গত বছর বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা
এর আগেও হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে গত বছর বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ছবি

সব ধরনের শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২৪ মে (সোমবার) সারাদেশে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল জেলা-উপজেলার এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১১টায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হবে।

‘অবিলম্বে সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে’ ফেসবুক গ্রুপের এডমিন মোহাম্মদ ইসমাইল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক করোনা সংক্রমণের দোহাই দিয়ে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখান করেছে। একই সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২৪ মে সারাদেশে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে। রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং দেশের বাকি সকল সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজেদের সুবিধাজনক স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কর্মসূচি পলিত হবে।

এতে বলা হয়, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বড় অংশই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে পরিবারের হাল ধরতে হয়। এভাবে বছরের পর বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। তাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া সামনে কোনো পথ খোলা নেই বলে শিক্ষার্থীদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রুপ এডমিন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জিকে সাদিক বলেন, সরকার করোনা সংক্রমণের অজুহাতে বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি করছে। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলছে। আমরা মনে করি এটা কেবল মুখের বুলি ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ গত মার্চ মাসে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সারাদেশে জোরালো আন্দোলন শুরু হয় তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন ১৭ মে হল ও ২৪ মে ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে। তার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

সাদিক বলেন, আমরা দেখলাম সরকার হাতে দুমাস সময় পেয়েও এখন পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনেনি। তারা যদি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সত্যিই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তাহলে ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে কেন এখনও তাদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে না? সরকারের এসব কাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সাদিক বলেন, হল-ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে আগামী ২৪ মে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। একই দাবিতে এদিন সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত রবিবার (০৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তারা। অনালাইনে পরীক্ষা কার্যক্রম চালানোর মত বাস্তবতা দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই বলে মত শিক্ষার্থীদের। সেসময় শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।

এদিকে, আগামী ২৯ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (১৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আরেক দফা বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুল-কলেজের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ