জাককানইবির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

‘ডিজিটাল বিপ্লবের কারণে প্রচলিত শিক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার  © সংগৃহীত

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের কারণে প্রচলিত পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের কাগজে-কলমে কেবল শিক্ষা দিলেই চলবে না। তাদের ডিজিটাল ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের শিক্ষা দিতে না পারলে বেকারত্ব বাড়বে। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্র-ছাত্রীদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতেই হবে।’

মন্ত্রী ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও নাট্য ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী হিসেবে তৈরি করার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম প্রচলিত পদ্ধতির সিলেবাস ও পাঠ্য বইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে ডিজিটাল উপযোগী শিক্ষা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের পরিধি কাগজের বইয়ের বাইরে চলে গেছে।’

আরও পড়ুন: জবিতে নিয়োগ অনিয়ম ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে ইউজিসি

কম্পিউটারে বাংলাভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সব ছাত্রকে কম্পিউটার বিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই। তবে প্রত্যেককে নুন্যতম ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতেই হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা খুবই মেধাবী। স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি মৌলিক বিষয় যাতে জানতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করা অপরিহার্য।’

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও কাজী নজরুলের মধ্যে মিল আছে। সাম্য ও অসম্প্রদায়িক চেতনার সেই আদর্শ আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। এটাই হবে নজরুলের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদান। তিনি বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী বৃহত্তর ময়মনসিংহের বাসিন্দা। এর ফলে এই অঞ্চলেল নবীনদের শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম এমন একটি মহৎ কাজের সূচনা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

একই সাথে শিক্ষা বিস্তারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ত্রিশালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা না হলে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অনেকের পক্ষেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা কঠিন হতো।’

বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সৃজনশীল মানুষ গড়ার একটি অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সংশ্লিষ্টদের সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।


সর্বশেষ সংবাদ